ইউএসএ তে কিভাবে ইন্টার্নশিপ পাওয়া যায় এবং ইন্টার্নশিপ কেন গুরুত্বপূর্ণ সেই নিয়ে আলোচনা করব।
আজকে ইউএসএ তে কিভাবে ইন্টার্নশিপ পাওয়া যায় এবং ইন্টার্নশিপ কেন গুরুত্বপূর্ণ সেই নিয়ে আলোচনা করব। তবে ধারণা করি এই তথ্যগুলো উন্নত বিশ্বের যে কোনো দেশেই প্রযোজ্য হতে পারে।
ইন্টার্নশিপ হল কোন একটি কোম্পানিতে অল্প কিছুদিনের জন্য একটি পূর্বনির্ধারিত প্রজেক্টে কাজ করা।
সাধারণত গ্রীষ্মকালিন সময়ে (মে - অগাস্ট) কাজ করানোর জন্য ইন্টার্নদের হায়ার করা হয়। কারণ সে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। এই সময়টি শিক্ষার্থীরা অনেক সময় তাদের সুপারভাইজারের প্রোজেক্টে গবেষণা করে কাটায়, আাবার অনেকে ইন্টার্নশীপ করে।
এই ভিডিওতে আমি কোম্পানির পার্সপেক্টিভ থেকে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটি শেয়ার করতে চাই। আশা করি পুরোটা শুনবেন।
শ্রোতাদের সুবিধার্থে আমি এই ভিডিওটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি।
১। ইন্টার্ন হায়ারিং বিষয়ে কোম্পানির পার্সপেক্টিভ
২। কোম্পানিগুলো কখন ইন্টার্নশিপ ওপেন করে এবং ইন্টার্নশিপ হায়ারিং প্রসেসটি কেমন
৩। ইন্টার্নশিপ পাওয়ার জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে
শিক্ষার্থীদের অনেকের মধ্যে এরকম ধারণা থাকে যে কোম্পানিগুলো বোধহয় যেকোনো ইন্টার্ন নেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকে।
কোম্পানি গুলো ইন্টার্নশিপ অফার করে তাদের প্রয়োজনে— এই কথাটি ঠিক কিন্তু ইন্টার্নশিপ সহজেই পাওয়া যায় ব্যাপারটি তেমন নয়। ইন্টার্নশিপ অনেকটা চাকুরী খোঁজার মতাই সিরিয়াসলি নিতে হয়। এর জন্য প্রস্ততির দরকার। অবশ্যই ইন্টার্নদের কম্পানি ফাইন্যানসিয়াল সাপোর্ট দেয়। আমি চাকুরীর মতোই বলতে ফাইনান্সিয়াল ব্যাপারটি বোঝাচ্ছি না। চাকুরীর মত বলতে বোঝাচ্ছি ইন্টার্নশিপ পাওয়া অনেকটা চাকুরী পাওয়ার মতই– চাকরি পেতে গেলে যেসব ধাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ইন্টার্নশিপ পেতেও অনেকটা সেরকম ধাপ এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
ইন্টার্ন হায়ারিং প্রসেস আগের চেয়ে অনেক বদলে গেছে। ইন্টার্ন হিসেবে কাউকে হায়ার করার আগে ইদানিং কোম্পানিগুলো চিন্তা করে যাকে তারা ইন্টার্ন হিসেবে ট্রেইনিং দিচ্ছে তাকে ওই একই টিমে পরবর্তীতে পূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়ার সম্ভাবনা কতটুকু।
তার মানে দাঁড়াচ্ছে কোম্পানিগুলো ইন্টার্নদের উপরে এক ধরনের প্রত্যাশা করছে এবং সেই প্রত্যাশা ভবিষ্যতে পূরণ হতে পারে সেই লক্ষ্যে তাদেরকে ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে ওই কোম্পানির সাথে এবং সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে ওই টিমের সাথে এক ধরনের পরিচিতি ও বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠিত করছে। ইন্টার্ন হিসেবে কাকে হায়ার করবে এই বিবেচনা টি তখন প্রাধান্য পায়।
কোম্পানির দিক থেকে ভেবে দেখলে দেখা যায় এভাবে হায়ার করার বেশ কয়েকটি সুবিধা আছে। তার মধ্যে একটি হলো আগে থেকেই বোঝাপড়া থাকলে এবং সেই ইন্টার্ন যদি ওই কাজে আগ্রহী হয় তাহলে দীর্ঘদিন ওই কোম্পানিতে কাজ করবে এমনটি আশা করা যায়। আর সে কারণেই কোম্পানিগুলোর দিক থেকে বিবেচনা করলে ইন্টার্ন হায়ার করা বলা যায় এক ধরনের ইনভেস্টমেন্ট।
আর একে যদি ইনভেস্টমেন্ট ধরে নেই তাহলে এর থেকে তারা রিটার্নও আশা করবে। সেই রিটার্ন হচ্ছে প্রশিক্ষিত ইন্টার্ন পরবর্তীতে তাদের ওখানে ফুলটাইম পজিশনে যোগ দেবে যেমনটি একটু আগে উল্লেখ করেছি।
ইন্টার্নশিপ যারা খুঁজছেন তারা এই পার্সপেক্টিভটি মনে রাখবেন।
এটি কোম্পানিভেদে আলাদা হতে পারে তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রীষ্মের ছুটিতে যখন ইউনিভার্সিটি গুলো বন্ধ থাকে সেই সময় যাতে শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ করতে পারে সেই সময় কে টার্গেট করে ইন্টার্নশিপ পজিশন ওপেন করে।
ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে দেখেছি কিছু কিছু কোম্পানি আছে যারা সারা বছরই ইন্টার্নশিপ পজিশন এর বিজ্ঞাপন দেয়। এরকম বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে আমি দেখেছি এ ধরনের পজিশনের জন্য তারা ফ্রেশ গ্রাজুয়েট চাইছে।
যেসব কোম্পানি গ্রীষ্মকালীন সময়ে ইন্টার্ন হায়ার করার জন্য বিজ্ঞাপন দেয় তারা সাধারনত জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই তাদের ক্যারিয়ার সাইটে সেগুলো প্রকাশ করে।
অনেক কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ হায়ার এবং ম্যানেজ করার জন্য হিউম্যান রিসোর্স এর নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ কাজ করে।
এরা ইন্টার্নশিপ পজিশন ওপেন করার বিজ্ঞাপন দেয়া, সেগুলোর ইনিশিয়াল স্ক্রীন করা, সর্বোপরি হিউম্যান রিসোর্স সংক্রান্ত অফিশিয়াল কাজকর্ম দেখ ভাল করে। কোম্পানি গুলো সাধারণত পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের ইন্টার্ন হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। এর একটি কারণ প্রশাসনিক কেননা পিএইচডি একটি দীর্ঘমেয়াদী ডিগ্রী যেখানে শিক্ষার্থীরা তৃতীয় বা চতুর্থ বছর শেষে ইন্টার্নশিপ করার জন্য অ্যাভেলেবল হয়। তবে মাস্টার্স লেভেলের যারা ফ্রেশ গ্রাজুয়েট তারাও ইন্টার্নশিপের জন্য উপযুক্ত হয়। এগেইন কোম্পানিভেদে এবং বিভিন্ন স্টেটে এর পার্থক্য হতে পারে। গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ইন্টার্নশিপ শুরু করতে চাইলে আমার পরামর্শ হচ্ছে কোম্পানির ওয়েবসাইটে অন্ততপক্ষে নভেম্বর এর শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আপনাকে চোখ রাখতে হবে।
অনেক কোম্পানির ক্যারিয়ার ওয়েবসাইটে ইন্টার্নশিপ সংক্রান্ত স্পেসিফিক তথ্য দেয়া থাকে। সেখান থেকে জানা যায় কখন ইন্টার্নশিপ পজিশনের জন্য তারা বিজ্ঞাপন দেবে এবং কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে বা কিভাবে ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করতে হবে তার বিস্তারিত নির্দেশনা।
অনেক কোম্পানি তাদের ক্যারিয়ার সাইটে একাউন্ট ওপেন করার অপশন রাখে। সেখানে ইন্টার্নশিপ পজিশন ওপেন হলে পরে যেন নোটিফিকেশন আসে সেই রকম এলার্ট তৈরি করার অপশন থাকে।
আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ পাওয়া সবচেয়ে সহজ এবং এটিই বাস্তবসম্মত।
কোম্পানিগুলো চেষ্টা করে তাদের নিকটস্থ বিশ্ববিদ্যালয় যেমন একই শহরের বিশ্ববিদ্যালয় বা নিকটবর্তী কোন শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে হায়ার করতে।
ইন্টার্ন হিসেবে যাকে হায়ার করা হচ্ছে সে যদি একই শহরে থাকে তাহলে ইন্টার্ন এবং চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান উভয়ই এক ধরনের সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে।
আমেরিকা অনেক বড় দেশ এবং ইন্টার্নশিপের জন্য শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জব সাইটের মাধ্যমে কাছে বা দূরে ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করে। এটাই স্বাভাবিক। দেখা গেল কোন কোম্পানি দূরের কোন স্টেটের কাউকে ইন্টার্ন হিসেবে হায়ার করলো কিন্তু পরবর্তীতে সেই ক্যান্ডিডেট আরেকটি সুবিধাজনক লোকেশনে অপরচুনিটি পাওয়ায় আগের অফারটি ডিক্লাইন করে দিল। এরকম ডিক্লাইন করার কারণ হিসেবে তারা বলে যে নিকটবর্তী কোন স্থানে অফার পেয়েছে। আসলে যে কোন জবের ক্ষেত্রে এমনকি ইন্টার্নশিপের ক্ষেত্রেও লোকেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোম্পানিগুলোর চেষ্টা করে তাদেরকেই হায়ার করতে যারা আশেপাশে থাকে। অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পরে কাউকে অফার দিলে সে যদি ইনিশিয়ালি একসেপ্ট করে পরবর্তীতে আবার ডিক্লাইন করে তখন হায়ারিং কোম্পানির জন্য এটি সমস্যার।
স্থানীয় শিক্ষার্থীদের ইন্টার্ন হিসেবে হায়ার করার দ্বিতীয় কারণটি হলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হায়ারিং ম্যানেজারদের সাথে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলেভান্ট ডিপার্টমেন্ট এবং সেই ডিপার্টমেন্টে প্রফেসরদের সাথে এক ধরনের কোলাবোরেশন এবং জানাশোনা থাকে। ফলে সেই ডিপার্টমেন্ট থেকে যখন কেউ আবেদন করে তখন তারা সেই আবেদনকারী সম্পর্কে জানাশোনার সুযোগ থাকে। সর্বোপরি আগে থেকেই ওই ডিপার্টমেন্ট এর সাথে পরিচয়ের সূত্রে এক ধরনের নির্ভরযোগ্যতা তৈরি হয়। এই ব্যাপারে গুলো অল্প পরিসরে ব্যাখ্যা করা কঠিন তাই আর বিস্তারিত গেলাম না।
যেকোনোভাবে কোম্পানিটির হায়ারিং ম্যানেজার বা তার ডিপার্টমেন্টে কাজ করে এমন কারো সাথে নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে হবে। হায়ারিং ম্যানেজাররা ইন্টার্ন হায়ার করার বিষয়টি প্রথমে টিম মিটিংয়ে উপস্থাপন করে এবং সেখানে এটি নিয়ে আলোচনা করে। আলোচনাটি এরকম যে তিনি টিমমেটদের কাছে জানতে চান তাদের কোন প্রজেক্ট আছে কিনা যেখানে ইন্টার্ন কেউ এসে সহায়তা করতে পারে। এখানে প্রজেক্ট বলতে সেই টিমমেট যে প্রজেক্ট রান করছে সেই প্রজেক্ট এর কোন একটি অংশ যেটি অপেক্ষাকৃত low stake এবং লেবার ইনটেনসিভ যেখানে টিমমেট এর সময় ব্যয় না করে অপেক্ষাকৃত নবীন কাউকে দিয়ে সেই কাজটি করিয়ে নেয়া যায় কিনা।
এরকম কোন কাজের সুযোগ থাকলে তখন ইন্টার্ন হায়ার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। ইন্টার্ন হিসেবে যাকে হায়ার করা হচ্ছে তিনি কোন একজন টিমমেট এর তত্ত্বাবধানে কাজ করেন। অর্থাৎ টিমমেট যদি ইন্টার্ন সুপারভাইজ করতে রাজি হয় তাহলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হয়।
সবসময় যে এভাবেই ইন্টার্নদের হায়ার করা হয় এমন নয়। অনেক কোম্পানি আছে যাদের ইন্টার্ন দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার মত অনেক প্রজেক্ট থাকে। তারা সারা বছরই ইন্টার্ন অথবা ফ্রেশ গ্রাজুয়েট হায়ার করে।
ইন্টার্নশিপ সহ যেকোন হায়ারিং এর ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি কোম্পানিতে একটি অলিখিত বিষয় রয়েছে। সেটি হচ্ছে আপনার পরিচিত কোন প্রার্থী আছে কিনা এবং থাকলে তাদেরকে আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়। সব সিলেকশনই ফেয়ার হয় কিন্তু পরিচিত থাকায় তাদের সম্ভাবনাটা কিছুটা হলেও বারে এটি বলা যায়।
অনেক সময় স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জব ফেয়ার হয় কিংবা জব ফেয়ার এর মত কোন অনুষ্ঠান হয় যেখানে স্থানীয় বিজনেস ও কোম্পানিগুলোর ম্যানেজারদের এসব ইভেন্টে ইনভাইট করা হয়।
ম্যানেজাররা এ ধরনের ইভেন্টে যোগ দিয়ে শিক্ষার্থীরা কি কি কাজ করছে সে সম্পর্কে অবগত হওয়ার সুযোগ পায়। এ ধরনের ইভেন্ট আসলে ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার কোলাবরেশনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এগুলোর মূল উদ্দেশ্যই থাকে অ্যাক্যাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা মোতাবেক গ্রাজুয়েট তৈরি করতে পারছে কিনা। কারণ আলটিমেটলি একাডেমিয়া থেকে যারা ডিগ্রী নিয়ে বের হচ্ছে তাদের একটি বড় অংশ এই ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে কাজ করবে। এই ধরনের ইভেন্ট একজন শিক্ষার্থীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেননা শিক্ষার্থী তার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তার সম্ভাব্য হায়ারিং ম্যানেজার কে ইমপ্রেস করার সুযোগ পায়। নিদেনপক্ষে কোন্ কোন্ কোম্পানির ম্যানেজার এই ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে সেই তথ্য সে আগে থেকেই পায় এবং নিজেকে সেই কোম্পানির ম্যানেজার বা প্রতিনিধির কাছে পরিচিত করানোর সুযোগ পায়।
উদাহরণস্বরূপ আমাদের টিমে একবার একজন ইন্টার্নকে হায়ার করেছিলাম তাদের ইউনিভার্সিটির একটা প্রোগ্রামে তার পোস্টার প্রেজেন্টেশন দেখে।
অর্থাৎ আপনি একজন ক্যান্ডিডেট হিসেবে প্রত্যেকটি এভিনিউতে এক্সপ্লোর করতে হবে যেমন জব ফেয়ারে অ্যাটেন্ড করতে হবে, এবং এ ধরনের ইভেন্ট যদি স্থানীয়ভাবে হয় যেখানে কোম্পানির প্রতিনিধিদের আসার সম্ভাবনা থাকে সে ধরনের ইভেন্টে নিজেকে উপস্থাপন করার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ করে নিতে হবে।
আর তিন নম্বর কারণটি যা বলার অপেক্ষা রাখে না তা হলো— অনেক জায়গায় আবেদন করতে হবে।
অবশ্যই আপনি শিক্ষাক্রমে যা যা শিখছেন তার সাথে সম্পর্কযুক্ত কাজ যে সকল কোম্পানিতে করা হয় সেসব কোম্পানিতে আপনার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আমি যেহেতু অ্যানালিটিক্স ফিল্ডে কাজ করি তাই অ্যানালিটিক্স কাজকর্মের সাথে জড়িত কিংবা সেই ধরনের ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরাই আমাদের টার্গেট থাকে।
আগে থেকে পরিচয়ের সূত্রে আবেদন করলে ব্যাপারটা কিছুটা সহজ হয়। আবেদনের সময় কী ধরনের কাজ করেছেন সেরকম প্রেজেন্টেবল কাজের নমুনা অ্যাপ্লিকেশন এর সাথে জুড়ে দিতে পারেন।
অনেকেই হয়তো ভাবছেন যদি স্থানীয় কোম্পানিতে সুযোগ না হয় সে ক্ষেত্রে দূরের কোন কোম্পানিতে আবেদন করার জন্য বিশেষ কোন প্রস্তুতি আছে কিনা।
বিশেষ কোনো প্রস্তুতি নেই।
প্রস্তুতির পদ্ধতি এবং ধরন একই রকম সেটি দূরের হোক কিংবা কাছের হোক।
আবারো স্মরন করিয়ে দিতে চাই ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক থাকলে ইন্টার্নশিপ পাওয়া সহজ হয়। আর সম্ভাবনা বাড়ানোর আরেকটি উপায় হচ্ছে অনেক জায়গায় আবেদন করা যা পূর্বে উল্লেখ করেছি।
আশা করি এই আলোচনা থেকে কিছু জিনিস পরিষ্কার হয়েছে। সংক্ষিপ্ত পরিসরে বেশি ব্যাখ্যা করতে গেলে ভিডিওর দৈর্ঘ্য বেড়ে যায় আর শ্রোতাদের আগ্রহ থাকে না। তাই আজ এখানেই শেষ করতে চাই।
কোন প্রশ্ন থাকলে মন্তব্য জানাতে পারেন আমি চেষ্টা করব উত্তর দিতে। আর আপনাদের কোন পরামর্শ থাকলে সেটি জানাতে ভুলবেন না।
এই লেখা/ভিডিওটি যদি আপনার কাজে লেগে থাকে তাহলে লাইক এবং শেয়ার করুন। এতে করে গুগোল রেলেভান্ট ভিডিও গুলো আপনাকে দেখাবে এবং আমার ভিডিওটি অন্য অনেকের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। আপনার সহায়তার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি এনায়েতুর রহীম সবাইকে আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।